বিদেশফেরত এসব নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সে নির্দেশনা অমান্য করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে।
জানা যায়, গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এরা বিদেশ থেকে এসেছেন। যাদের বেশিরভাগই ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন এবং ইমিগ্রেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে গেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪
মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশের তরফ হতে ফরিদপুরের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এ তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, ফরিদপুরে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বিদেশফেরতকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে করোনা নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান এবং পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, বুধবার যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান ইউএনবিকে জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ২০ জন বিদেশফেরত যাত্রী নিজ উদ্যোগে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে শহরের ঝিলটুলীর তিনজন ইতিমধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকির সময়সীমা অতিক্রম করায় তাদেরকে মুক্তভাবে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জেলা শহরের বাইরে এখন পর্যন্ত চরভদ্রাসনে ১০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলেও তিনি জানান।